
জুলাই৩৬ নিউজ রিপোর্ট। চট্টগ্রাম | সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, বহিষ্কৃত যুবদল নেতা বাদশাহর অনুসারী ছাত্রদল নামধারী সন্ত্রাসীরা মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীদের ওপর শর্টগান ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ওপেন ফায়ার করেছে।
এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫ জন শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। হামলার পর চকবাজার এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে চকবাজার এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে সদ্য বহিষ্কৃত যুবদল নেতা বাদশাহর অনুসারীরা একটি ভ্যান থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। এ সময় মহসিন কলেজের ছাত্রশিবিরকর্মী আরিফ এবং জামায়াতের কয়েকজন স্থানীয় জনতা সহযোগিতায় চাঁদাবাজদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরে চকবাজার এলাকায় একা পেয়ে আরিফকে মারধর করে বাদশাহর অনুসারীরা এবং ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ পরিচয়ে থানায় নিয়ে যায়। পরে মহসিন কলেজের ছাত্ররা থানায় গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করলে, আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে গুলি চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলাকারীরা মূলত বাদশাহর চাঁদাবাজ গ্রুপের সদস্য, যারা নিজেকে ‘ছাত্রদল’ ও ‘যুবদলের’ নাম ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
তাদের অধিকাংশই নিয়মিত অস্ত্র বহনকারী এবং এলাকার ব্যবসায়ী ও রিকশাচালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন—
“ছেলেরা থানায় একজনকে ছাড়াতে গিয়েছিল, কিন্তু বাইরে ওঁৎ পেতে ছিল অস্ত্রধারীরা। তারা সরাসরি গুলি ছুড়েছে। এটা ছাত্ররাজনীতি নয়, এটা স্পষ্ট সন্ত্রাস।”
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের শরীরে গুলি এখনো অবস্থান করছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ইতোমধ্যে ছাত্রশিবির ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয় জনসাধারণও এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন,
“চাঁদাবাজি বন্ধ করতে গিয়ে যারা আক্রান্ত হলো, তারাই আজ পুলিশের সাহায্য পাচ্ছে না—এটাই সবচেয়ে কষ্টদায়ক।”